রামগতি-কমলনগরে দল গোছাত ব্যস্ত বিএনপি, চার মাসে শতাধিক সভা-সমাবেশ
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ পিএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে একেবারে তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের পর আন্দোলন কর্মসুচির চাপ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মামলা-হামলার চাপও। একারণে অপেক্ষাকৃত স্বস্তিতে থাকলেও ক্রয়োদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে বিএনপি। তাই দল গোছাতে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করা হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর কমলনগর-রামগতির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক সভা সমাবেশ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। প্রতিটি সভা সমাবেশে ধানের শীষের প্রচারণা ও গণসংযোগ করা হচ্ছে। রামগতি উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কমলনগর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৮১ টি ওয়ার্ড ভিক্তিক উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ করতে দেখা গেছে দলটিকে। এসব উঠান বৈঠকে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশ প্রশংসনীয়। এতে দলটির তৃনমুল হয়ে উঠেছে বেশ চাঙ্গা। ওয়াজ মাহফিলেও অংশ গ্রহন করছেন নেতারা। এসব কর্মসূচিগুলোতে অংশ গ্রহন করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক লক্ষ্মীপুর-৪ কমলনগর-রামগতি আসনের সাবেক দুইবারের টানা সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। এসব সভা সমাবেশে উপজেলা বিএনপি আহবায়ক গোলাম কাদের, যুগ্ম আহবায়ক এম.দিদার হোসন, সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী, উপজেলা যুবদল নেতা ইউছুফ পাটোয়ারী, আবু সাঈদ দোলন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু ও সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভুইয়া প্রমুখ।
২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুইবার ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এমপি হয়েছিলেন এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। ২০১৪ সালের পর এ আসনটি আওয়ামীলীগ একচেটিয়া দখলে নেয়। গত তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। এ আসনে ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে সামনে রেখে নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি চরকাদিরা ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খুসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। তারাও আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশংসা করে নানা বক্তব্য দিয়ে এ আসনে নিজানের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন।
থানা সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের সময়ে কমলনগর থানায় কোন ধরনের রাজনৈতিক মামলা ছিলনা। কিন্তু ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন এমপি হওয়ার পর কমলনগর থানায় প্রচুর পরিমাণ মামলা হয়। ওই সব মামলায় প্রায় ৯ হাজারের মত বিএনপির নেতাকর্মী আসামী। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আব্দুল্লাহ আল মামুন অনেকটা আত্মগোপনে চলে যায়। হামলা মামলার ভয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিক ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা সবাই এলাকা ছাড়া। তবে কিছু নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেে বেশ সক্রিয়। পালিয়ে থেকেও তারা বর্তমান অন্তরবর্তিকালীন সরকারের নানা সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এ অবস্থায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে চলছে উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ। এতে ওয়ার্ড ভিক্তিক নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন তারা। গত ৫ মাসে রামগতি-কমলনগরে আশরাফ উদ্দিন নিজানের নেতৃত্বে দলটির সাংগঠিন শক্তি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠে।
কমলনগর উপজেলা যুবদল নেতা আবু সাঈদ দোলন বলেন, বিগত ১৬ বছর মামলা হামলা খেয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা জর্জরিত ছিল। বর্তমানে আমরা আমাদের নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত করতে তৃনমুল পর্যায়ে কাজ করছি।
কমলনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম দিদার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এখন স্বাধীনভাবে প্রতিদিন আমরা সভা সমাবেশ করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। ওয়ার্ড ভিক্তিক উঠান বৈঠক করে তৃনমুলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কমলনগর উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, এ আসনটি মুলত বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চল থেকে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে দুইবার এমপি হয়েছেন। তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার জায়গা। তাকে সামনে রেখে আমরা দল গোছাত ব্যাস্ত সময় পার করছি।
কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম কাদের বলেন, প্রতিদিন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন উঠান বৈঠক ও সভা সমাবেশ হচ্ছে। আমরা সেখানে অংশ গ্রহন করছি। এ অঞ্চলের মানুষের ভালবাসার মানুষ নিজান সাহেবকে সামনে রেখে দল গোছাতে কাজ করছি। অতিতের তুলনায় বিএনপি অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম আশ্রাফ উদ্দিন নিজান বলেন, প্রতিনিয়ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছি। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমার নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তৃণমূলের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি। ধানের শীষের পক্ষে মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছে। আমি সবসময় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত আছি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বোরহানউদ্দিনে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে বৈষম্য: ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ই সমাধান
মসজিদের ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ
মিনেরোকে উড়িয়ে কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় রিয়াল
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া
রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে : সেলিম উদ্দিন
ভারতে ঢুকে পড়েছে এইচএমপিভি
আন্তর্জাতিক আইকিউ টেস্টে দ্বিতীয় ইরান
গণঅধিকার পরিষদের ফারুকের ওপর হামলা : দুই আসামির জামিন
লেনদেন ও সূচকের উত্থান পুঁজিবাজারে চাঙাভাব
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
পাবনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কাঙ্গাল বাবু গ্রেপ্তার
১৫ হাজার পিচ ইয়াবার মামলায় প্রবাসীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে : মাহমুদুর রহমান
বৃদ্ধাশ্রমের বাবা মায়ের পাশে জেলা প্রশাসন সব সময় আছে এবং থাকবে
তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিন প্রশ্নবিদ্ধ এনামুল
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টা
গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ
সোনারগাঁওয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ